আজ || মঙ্গলবার, ১০ Jun ২০২৫
শিরোনাম :
  বাহরাইনে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে ৫৪-তম স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনা       ফেনীর দাগনভূঞায় ছোট ফেনী নদীর আড়াআড়ি বাঁধ অপসারণ, জরিমানা       ফেনীর দাগনভূঞায় খামারীদের মাঝে ঘাস কাটার যন্ত্র ও সাইলেজ তৈরির উপকরণ বিতরণ       রাজাপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠিত       দাগনভূঞায় জে.কে ফাউন্ডেশনের ঈদ উপহার বিতরণ       সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখেই বাহরাইনে ঈদুল ফিতর উদযাপন       শ্রমিকদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেছেন কুমিল্লা প্রবাসী কল্যান ফোরাম বাহরাইন       বাহরাইনে আদনান গেইট কনস্ট্রাকশন কোম্পানির উদ্যোগে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ       দাগনভূঞায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা ও ইফতার       ফেনী ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন    
 


মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ২২৮ কোটি টাকা পাচার করেছে ইসমাইল হোসেন সম্রাট

মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ২২৮ কোটি টাকা পাচার করেছে ইসমাইল হোসেন সম্রাট

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটের প্রায় ২২৮ কোটি টাকা পাচারের তথ্য প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্রাট এসব টাকা হুন্ডির মাধ্যম সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেছেন। পাচারকৃত এসব টাকার মধ্যে বেশিরভাগ টাকায় সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় জুয়ার আসর মেরিনা বে-স্যান্ডস ক্যাসিনোতে খরচ করেছেন। তবে এখনও সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় সম্রাটের পাচারকৃত টাকার কিছু অংশ জমা রয়েছে। এগুলো দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ করছে দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সম্রাট সিঙ্গাপুরে পাচার করেছেন ৩ কোটি ৬৫ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার। প্রতি ডলারের দাম ৬২ টাকা হিসেবে বাংলাদেশি টাকায় এ অর্থের পরিমাণ ২শ ২৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আর এ সময়ে সম্রাট মালয়েশিয়ায় পাচার করেছেন দুই লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত। প্রতি রিঙ্গিত ২০ টাকা হিসেবে এ অর্থের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকা।

দুদকের তদন্ত বলছে, সম্রাট এসব অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে ওই দুই দেশে পাচার করেছেন। পাচারের বেশিরভাগ অর্থই সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে-স্যান্ডস ক্যাসিনোতে জুয়া খেলেছেন। বাকি যেসব অর্থ রয়েছে তা দেশে আনতে শিগগিরই বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে আইনি সহায়তামূলক চিঠি এমএলএআর পাঠানো হবে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায়। তবে দেশে তার খুব বেশি সম্পদের তথ্য পায়নি দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে সম্রাটের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় উল্লেখ করা হয়, সম্রাটের নামে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের হদিস পাওয়া গেছে। মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে পরবর্তীতে সম্রাটের স্ত্রী শারমিন চৌধুরী ও ভাই রফিকসহ অন্তত এক ডজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর সম্রাটের বিদেশে থাকা সম্পদের বিষয়েও তদন্তে নামে দুদক। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিআইএফইউ) -এর মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এমন তথ্য পেয়েছে।

উল্লেখ্য,গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর ৬ অক্টোবর গ্রেফতার হন সম্রাট। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ছয় মাসের কারাদণ্ডের পাশাপাশি সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হয়।

 


Top